বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২২ পরীক্ষার প্রস্তুতি [ভাব-সম্প্রসারণ পার্ট-১]

আসসালামু আলাইকুম

হ্যালো Viewers আপনারা সবাই কেমন আছেন?

আশাকরি আল্লাহতালার অশেষ মেহেরবানীতে সবাই ভালোই আছেন।
আজকে আপনাদের মাঝে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা শিখব বাংলা ভাব-সম্প্রসারণ আমরা যখন বিভিন্ন চাকরির জন্য লিখিত পরীক্ষা দিতে যায় তখন আমরা দেখি যে ভাব-সম্প্রসারণ লেখার জন্য বলে। 

বিশেষ করে আপনি যদি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা দিতে যান সেখানে আপনি নিশ্চিত বাংলা ভাব-সম্প্রসারণ পাবেন। তো যদি আগে থেকে আমরা কিছু ভাব-সম্প্রসারণ শিখে রাখি তাহলে আমরা লিখিত পরীক্ষায় খুব সহজেই ভাব-সম্প্রাসারণ লিখে দিতে পারব। 


ভাব-সম্প্রাসারণের মধ্যে কিছু কিছু ভাব-সম্প্রসারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো দেখা যায় প্রায় বেশির ভাগ সময়ই লিখিত পরিক্ষার মধ্যে চলে আসে। তার মধ্য থেকে আজকে আমরা ২ টা ভাব-সম্প্রসারণ শিখব তো চলুন আর দেরি না ভাব-সম্প্রসারণ গুলো দেখে নেই।

1. দুঃখের মতো এত বড় পরশপাথর আর নেই

পরশপাথরের ছোঁয়ায় লোহা সোনা হয়। তেমনি মানবজীবনে কোনো কোনো দুঃখময় ঘটনা ক্ষুদ্র মানুষকে মহৎ মানুষে রূপান্তরিত করে।

আগুনে পোড়ালে যেমন খাঁটি সোনার পরিচয় স্পষ্ট হয়, তেমনি দুঃখের দহন মানুষকে খাঁটি মানুষে পরিণত করে। আঘাতে আঘাতে, বেদনায় বেদনায় মানুষের মনুষ্যত্ববোধ, সত্যনিষ্ঠা ও বিবেকবোধ জাগ্রত হয়। দুঃখে না পড়লে কোনো মানুষই জীবনের যথার্থ স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে না। মনীষীগণ তাই দুঃখকে পরশপাথরের সাথে তুলনা করেছেন। পরশপাথরের ছোঁয়ায় যেমন লোহা সোনায় পরিণত হয়, তেমনি দুঃখের আঘাত অমানুষকে মহৎ মানুষে পরিণত করতে পারে। বেদনার অশ্রুতে যখন ভেসে যায় সমস্ত গ্লানি, তখন অপার্থিব এক পবিত্ৰবোধ জন্ম নেয় হৃদয়ে। সেই পবিত্রবোধই তাকে সুন্দর করে, নতুন এক মানুষে পরিণত করে।

সুখ-দুঃখ মানবজীবনের এক অনিবার্য ফসল। তবে বাস্তব জীবনে এমন অনেক বিষাদময় ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, যা সাধারণ মানুষকে মহৎ হৃদয়ের মানুষে পরিণত করে। স্রষ্টার পক্ষ থেকে দুঃখ একধরনের পরীক্ষা। দুঃখের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে সাধারণ মানুষ উত্তম মানুষে পরিণত হয়।

2. কীর্তিমানের মৃত্যু নেই

দীর্ঘদিন বেঁচে থেকে অনেকে পৃথিবীতে স্মরণীয় হতে পারে না। বরং সংক্ষিপ্ত জীবন যাপন করেও অনেকে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন তাঁদের স্মরণীয় কীর্তির জন্যে।

এ নশ্বর পৃথিবীতে কেউ চিরদিন বেঁচে থাকে না। একদিন না একদিন তাকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। মৃত্যু অমোঘ জেনেও এ সংক্ষিপ্ত জীবনে কেউ কেউ মানবকল্যাণে এমন কিছু কীর্তি রেখে যান, মৃত্যুর পরও যাঁরা মানুষের হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকেন। সাধারণ মানুষের মৃত্যু হলে পৃথিবীতে কেউ তাকে আর স্মরণ করে না। অথচ কীর্তিমানের মৃত্যু হলে তাঁর শরীরের অবসান হয় বটে কিন্তু তাঁর মহৎ কাজ, অম্লান কীর্তি তাঁকে বাঁচিয়ে রাখে। কীর্তিমান মানুষের মৃত্যুর শত শত বছর পরেও মানুষ তাঁকে স্মরণ করে। বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদ সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, কিংবা মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ বাংলার মানুষের হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে। তাঁদের অম্লান কীর্তি বাঙালি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

মানুষের দেহ নশ্বর কিন্তু মহৎ কীর্তি অবিনশ্বর। মৃত্যুর শত শত বছর পরেও কীর্তিমান মানুষের অমর অবদানের কথা মানুষ স্মরণ করে। তাই বলা হয়, কীর্তিমানের মৃত্যু নেই।

আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টা পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন

খোদা হাফেজ

Post a Comment

0 Comments